এক মায়াবী পরীর গল্প ময়নাপুর এক মায়াবী পরী বাস করত। সে মন্ত্র বলে যে কোন পাখির রূপ ধরতে পারতো। পাখির রূপ ধারণ করে ইচ্ছে করলেই মন্ত্র বলে আবার আগের রূপ ফিরে পেত সে মন্ত্র পড়া জল ছিটিয়ে যে কোন মানুষ কিংবা পশুকে ময়না পাখি তোতা পাখি বানিয়ে ফেলতে পারতো আবার সে পাল্টা মন্ত্র পড়ে সেই মন্ত্রের সৃষ্টি পাখিকে পুনরায় মানুষ বা পশু বানাতে পারত অর্থাৎ আগের রূপ ফিরিয়ে দিতে পারত সে পরীর নাম ফজল জল দাস প্রথমে সে খুবই গরীব ছিল মা বাবা খুব ছোটবেলাতেই মারা যাওয়ায় সে মামা বাড়িতে থাকতো মামা-মামী তাকে দিয়ে চাকরের মতো খাটিয়ে নিতো মাঠে কাজে ফজল বাসনপত্র ধোয়ার ব্যাপারে ফজল তবুও তাকে পেট ভরে দুবেলা খেতে দিত না একদিন ঠিক করল ফজল সে আর মামা বাড়িতে থাকবে না কারণ মামা বাড়িতে থাকলে তাকে খেটে খেটে মরে যেতে হবে তাও যদি পেট ভরে খেতে দিত তাহলে ও নয় কথা ছিল
![]() |
এক মায়াবী পরীর গল্প |
কিন্তু মামা মামিদের মনোভাব হলো পরিশ্রম করবে গাধার মতো অথচ খাবে পাখির মত মেজ মামি খেতে দিয়ে বলতো রাক্ষসের মত খাওয়া আমি একদম পছন্দ করি না আর পান্ডে পিন্ডে বেশি গিলে পড়ে পড়ে কেবল ঘুমোবি তাতে কাজকাম কিছু হবে নি তাই খেতে হবে পাখির মত কাজ করতে হবে গাধার মত বুঝলি ফজল শেষের দিকের রোজ রোজ আধ পেটা খেয়ে ফজলের ও মেজাজ বিগড়ে গিয়েছিলো সে ভাবল যা হয় হবে সেও মুখের উপর বলে দেবে তাই মেজ মামি বলতেই সে বলল পাখির মতো খেলি পাখির মতোই এবার কাজ হবে গাধার খাটনি আমি আর খাটতে পারব নি সেই কথা মামাদের বলে দিও কি বললি যা বললাম তা তো শুনতে পাচ্ছ বারবার জিজ্ঞেস করতে আজ কেন কি ছোট মুখে বড় কথা আজ তোর মেজ মামি আসুক তোকে মারতে বলবনি নালিশ করলে বালিশ পাবে আমায় মারলে আমি আর সংসারের কাজকর্ম করতে পারব নি তাও বলে দিলাম খুব বড় বড় কথা বলতে শিখেছিস কাজ না করলে খেতে দেবে কে শুনি ভগবান যখন সৃষ্টি করেছেন তিনি সকলকে খেতে দিতে পারলে আমায় দিতে পারবেন তাছাড়া আমি নিজে নিজে যখন খাটতে পারে রাত বাড়িতে গিয়ে একটা কাজ জুটে নিতে পারব রাজামশাই তোমার কাজ দেওয়ার জন্য বসে রয়েছেন তোর মামা রাজামশাই-এর কর্মচারী তিনি যদি একবার বলে দেন কাজ তো জুটবে না উলটো জেলে ভাত খাওয়া হবে সেই boy আমায় দেখাইয়েন না মামি আমি ব্যবসা শুরু করব কি দিয়ে ব্যবসা করবি শুনি ব্যবসা করতে টাকা লাগে আমি তো আর বানের জলে ভাইসা আসে নি আমার অনেক টাকা আছে কোথায় আছে কেন বড় মামা আর মেজ মামার কাছে মা যখন মইরা যায় তার অনেক সোনার গয়না বড় মামা রে দিয়া বলছিল আমি বড় বিয়ে করলে সেই সব কয়েন আমার বউকে দিবে আর মা মরা যেতেই আমার এইখানে আনার আতে মেজ মামা আমাদের জমিজমা সব মায়ের গয়না আমায় দিতে হবে আমি সেইসব বেঁচে দিয়ে ব্যবসা করব ফজল মুখে কথা শুনে বড় মামি ও মেজ মামি খুব রেগে গেলেন অবশ্যই রেগে যাওয়ার কথা ফজলের মায়ের গয়না তো আর কম ছিল না বলতে গেলে 100 ভরি রুপোর ছিল আমি ঠিক করে রেখেছেন যে সেই সব গয়না তাদের তিন মেয়ের বিয়েতে দেবেন ফজল বড় হয়
0 comments:
Post a Comment