আমার জীবনের প্রথম ঘটনা লিখছি, আর ভাল লাগলে কমেন্ট করে জানাবেন।আমার নাম প্রশন জিত পাল,বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকছি থানার দোলাতপুর গ্রামে।আমার একটা ফ্রেন্ড আছে তার নাম রনি।ঘটনাটি ঘটে আমার ফ্রেন্ড এর কাকার সাঁতে।তার বাড়ি আমার গ্রামের পাসের গ্রাম মানে গয়নাকান্দি গ্রামে।আমার ফ্রেন্ড এর কাকার নাম ছিল বাবলো ।তিনি বিয়ে করেছে ২০০৩ শালে।বিয়ে ঠীক প্রায় ১ বছরের মাথায় তার আকটা মেয়ে হয় ।তার মা আধর করে নাম রাখে তাহারা।ঘটনাটি ঘটে ২০১১ সালের মাঝা মাঝা সময়ে।একদিন দুপুর বেলায় মানে আমার ফ্রেন্ড কাকা গল্পে আমি তিনি বলে বুঝানোর জন্য বলবো।তিনি তার বউ এবং সাত বছরের শিশু এক সাতে ভাত খাচছিল তখন খবর আছে কাকার শশুর মারা গেছেন।মারা যাওয়ার খবর শোনে কাকা শশুর বাড়ির উদ্দেশ নিয়ে রওনা দিল।
ভূতের গল্পঃলাশের গল্প
তার শশুর বাড়ি ছিল তার বাড়ি থেকে ৫ কি ৬ কিলমিটার দূরে।তাই তিনি বউ ও শিশুকে একটি ভ্যান গাড়ীতে তোলে দেণ।এবং তিনি সাইকেলে করে যাচছে।গ্রামে কাচা রাস্তা তার উপর বর্ষা কাল হওয়ায় রাস্তায় অনেক কাদা জমেছে।প্রায় এক ঘণ্টা পর গিয়ে শশুর বাড়িতে পোঁছান বাবুল কাকা। গোছল, তার পর যানাজা,শেষে আছর নামাজের পর লাশকে কবর দিতে নিয়ে যেতে হবে।তাহেরা ওর বাবার কাছে বায়না ধরে যে সে কবর দিতে জাবে।মেয়ের কথা না করে দিয়ে সে বলল তুমি ছোট মানুষ ,তুমি শেখানে গিয়ে কি করব্রে।তবে মেয়েটা যে বাড্ড জেদি।কবর দিতে যাবে ত যাবেই।মেয়েটার কানাকাটি দেখার পর বাবলো কাকা তাহারাকে নিয়ে যেতে রাজি হয়।তবে তিনি বলেন যে সে জেন,তার মার সাথে থাকে তাহেরা রাজি হন।গ্রামের শেষ প্রান্তে চাষের জমির পাশে গোরুস্তা্ন ,গোরুস্তা্নটির চারদিকে কোনো সীমানা ও নেই।
ভূতের গল্পঃলাশের গল্প
গোরুস্তা্নে এসে বাবলো কাকা তাহেরা ওর মায়ের কাছে রেখে বলেন এখানে চোপ করে থাক।কোথাও যাবে না।তারপর কাকা লাশটিকে মাটি দিতে কবরে চলে জান।কেমন করে লাশকে কবর দেয় তা দেখার জন্য ভীষণ কৌতহল হয়ে তাহেরা সে দিকে এগিয়ে যান।কিছু না বলে মাটি দেওয়া দেখবে বলে অপর পাশ দিয়ে ঊকি দিবে তখনেই একটা পুরনো কবর ভেঙ্গে পরে যায় তাহেরা।এবং তাহেরা চীৎকার করা শোরু করে দেয়,বাবলু কাকা তারাতারি মেয়েকে ভাঙ্গা কবর থেকে তুলে বাসায় নিয়ে জান।তারপর মেয়েকে বকা ঝকা দেন।যে কেন সে তার কথা শুনল না।তাহেরা গায়ে জেন কাদা মাটি লেগে ছিল তা ধোয়ে দেন তাহেরার মা।একে ত মরাবাড়ী শোকে ছায়া লেগে আছে।তাই বেপারটাকে বেশীদুর করাল না বাবলো কাকা।তার বউ কে বলল তাহলে আমি বাড়ী যাই,কারন,গরু ছাগল গোলো আছে আর তুমি মেয়েকে নিয়ে থাক।কাল সকাল হলে চলে যেও ।
আবার তাহেরা ওর বাবার সাথে যাবে বলে বাজ সাজে।সবাই বলে তুমি মায়ের সাথে থাক সকালে মায়ের সাথে যেও।কিন্তু কারো কথা শোনল না তাহেরা সে যাবে ত যাবে।আবশেষে তার মেয়েকে নিয়ে যেতে রাজি হন, বৃষ্টি পানি জমে থাকায় রাস্তার কাদা ভরা বাবালু কাকা আস্তে আস্তে সাইকেল চালিয়ে যাচছে।প্রায় এক কিলমিটার আসার পর সামনে একটি বড় মেনগনি গাছের বাগান পড়ে এবং এর পাশ দিয়ে রাস্তা চলে গেছে এবং মেহগনির বাগানের পাশ দিয়ে আসতেই হঠাৎ সাইকেন চেইন পরে জায়।চেইনটি তুলার সময় লক্ষ করল বাবালু কাকার পাশ দিয়ে আচ্ছা আবয়ব একটা বিড়াল চলে গেল।তিনি বিষয়টা আমলে নেন নাই,আবার সাইকেল চালাতে লাগলেন।মেহগ্্নির বাগানটার কাছে আছতেই আবার সাইকেলের চেইন পরে জায়।আবার সাইকেল থেকে নেমে চেইন তুলতে আবার লক্ষ করল সেই কাল বিরালটা আবার ও তার পাশ দিয়ে চলে গেল। এবার একটু ভয় পেল বাবলো কাকা তিনি বুঝে গেল এটা সাভাবিক কিছু না। চেইন ঠিক করে আবার ও দেখতে পেলেন প্রচণ্ড জোরে হাওয়া বইছে।মেহগণী বাগাণে যেন সামনে এগুতে পারছে না।মেয়েকে এক হাতে ধরে কোন রকমে সাইকেলটা ঠেলে বাগানের শেষ প্রান্তে আসতেই তার চোখ পড়ে একটা
মেহগনি ঢালের দিকে সেখানে বসে আসে সাদা কাপর পড়া একটা মানুষ। তবে এর কুনো মাথা নেই ভয়ে কলিজাটা শোকীয়ে আসছে।আর তিনি ভাবেন মেয়ে যদি এটা দেখে আনেক ভয় পাবে।তাই তিনি মেয়েকে সাইকেলের পিছন থেকে এনে সামনে কোলে করে বসিয়ে শক্ত করে জরিয়ে ধ্রেন।মেয়েকে বলেন মা একনিই চোখ বন্ধ করে থাক।আমি না বলা পর্যন্ত চোখ খোলবে না।তারপর বাবলো কাকা সাইকেলটা নিয়ে দৌরে দৌরে ঠেলাতে ঠেলাতে মেহগনি বাগানটা পেরুতেই এখন খোলা মাঠের ভেতর দিয়ে রাস্তা বাবলো কাকা সাইকেল নিয়ে মেয়েকে নিয়ে সাইকেল দিয়ে দৌরাচছেন।তখন আবার দেখতে পান পুরু রাস্তা জোরে কাপন পড়া লাশ শোয়ে আছে। এটা দেখে তিনি ভয় পেয়ে জান,ভয় পেলে চলবে না।তাকে যেইভাবে হোক বাসায় যেতে হবে।বাবলো কাকা আবার বলে মা আমি না বলা পরযন্ত চোখ খোলবে ণা।তারপর লক্ষ করে লাশটার পাশ দিয়ে সামান্ন একটা ফাকা জায়গা আছে।সেখান দিয়ে কোন রকমে জাওয়া জাবে।বাবলো কাকা লাশটার পাশ দিয়ে দ্রুত গতিতে পাশ কাটিয়ে জাওজার সময় পচা পচা গন্দ পান।মেয়েটা গন্দ পেয়ে বলে বাবা এটা কিশের গন্দ।বাবালু কাকা বলে ও কিছ না মা।তুমি চক্ষ বন্দ করে থাক।বাবালু কাকা সামনে যেতে তার বউ এর ডাক শোনতে পান। ডাক শোনে মেয়ে বলেন বাবা মা তুমাকে দাকছে।মাকে ও আমাদের সাথে নিয়ে চল।
বাবালু কাকা আবার ও বলে নিয়ে যাচিছ তুমি কিন্ত চোখ খুলবে না।তার গ্রাম আছতেই সে দেখল বাঁশ বাগানের সেই মাতা কাটা লাশটা তাকে ইশারা করে ডাকে। বাবালু কাকা আরও জোরে জোরে সাইকেল চালাতে লাগল।তার বাড়ী কিছু কাছে আছতেই একটা লোক দেখতে পায়।লোকটিকে সে পুরু ঘটনাটি বলে।পরে লোকটি তাকে বারী পর্যন্ত দিয়ে আছে।পরে বাবলো কাকা এক হুজুরের কাছে এই ঘটনা বলে পরে হুজর তাকে ও কাকার মেয়েকে পাণি পড়া দেন।সেই পানি পড়া খেয়ে তারা দুই জন এখন পর্যন্ত শুস্ত।(ভাল লাগলে কমেন্ট করে জানাবেন।)
0 comments:
Post a Comment