ভুতের সত্য ঘটনা
আমি সাইফুল ইসলাম। আমার হোমটাউন গাজীপুর জেলা, শ্রীপুর উপজেল্ কোন এক গ্রামে। সঙ্গত কারণে আমি আমার গ্রামটির নাম উল্লেখ করলাম না। ঘটনাটি ভালো লাগলে ওয়েবসাইটে প্রকাশ করব... ঘটনাটি আমার এক বড় ভাইয়ের সাথে ঘটেছে ।তিনি পেশায় একজন ডক্টর। তিনি সম্মোধন করছি বলে বলছি তিনি আমার 8 থেকে 10 বছরের বড...ওনার বাড়ি উত্তরবঙ্গের কোন এক জেলায়। তিনি ঘটনাটি আমার সাথে যেভাবে শেয়ার করেছেন আমি সেই ভাবে শেয়ার করছি। আমি তখন ময়মনসিং মেডিকেল কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থ...নতুন জায়গা নতুন মুখ এবং সবকিছু ভালভাবে চিনি না ।
![]() |
ভুতের সত্য ঘটনা
আমি একটা হোস্টেলে উঠেছিলাম, সেখানে কয়েকজনের সাথে আমার পরিচয় হয় ।আমরা চারজন বন্ধু একসাথে একরুমে থাকতাম। দিনটি ছিল 2012 সালের দূগা পূজার দিন। পুরো হোস্টেল ফাঁকা কেননা পুরো 6 দিনের ছুটি ছিল । আমাদের চারজনের মধ্যে আমরা দুজন কোথাও যায়নি, আমাদের রুম টা ছিল তিন তালা ।রাত তখন2:30 হঠাৎ দরজায় টক টক শব্দ আমার ঘুম ভেঙ্গে যায়।
ভুতের সত্য ঘটনা
কেউ আমার নাম ধরে ডাকলো আ।মি স্পষ্ট শুনতে পেলাম ঠক ঠক শব্দ এত তীব্র ছিল আমি এক লাফে উঠে বসলাম। ।আমার সাথে থাকা বন্ধুটিকে ডাকলাম কিন্তু কোন সারা পেলাম না ।কিন্তু বাধ্য হয়ে আমি দরজা খুললাম। দরজা খুলে দেখি আমি রুম থেকে বের হলাম, তখন কিছুটা ভয় পেলাম। কেননা পুরো করিডোরে আমি কাউকে দেখতে পেলাম না এবং করিডোরের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত ভালভাবে দেখে নিলাম। কিন্তু সেখানে কেউ ছিল না।
ভুতের সত্য ঘটনা
কিছুটা অবাক হলাম, এত রাতে কে বা আমার নাম ধরে ডাকলো আমি আর কিছুটা না ভেবে রুমে চলে আসলাম। এ ব্যাপারে কাউকে কিছু বললাম না পরের দিন ছিল দশম দিন। তাই আমরা বন্ধুরা মিলে বিসর্জন দেখতে গিয়েছিলাম। রাত দশটার আগে হোস্টেলে ফিরে আসলাম তারপর খাওয়া দাওয়া শেষে শুয়ে পড়লাম, হঠাৎ গত রাতের মত কর নাড়ার শব্দে আমার ঘুম ভেঙ্গে গেল। আজকের শব্দ টা ছিল শান্ত প্রকৃতির আমি দরজার কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করছিলাম কে? ওপাশ থেকে কেউ উত্তর দিল আমি হামিদ চাচা। এ হামিদ চাচা হলেন আমাদের হোস্টেলের কেয়ারটেকার ।আমি তখন দরজা খুলে বাহিরে বের হয়ে জিজ্ঞেস করলাম, কি দরকার। উনি জানালেন বড় স্যার আমাকে ওনার চেম্বার রে এক্ষুনি পাঠিয়েছেন। কথা বলার সময় আমি খেয়াল করলাম হামিদ চাচাকে কেন জানি নার্ভাস ফিল করছে। উনার মুখটা একটা চাদর দিয়ে ঢাকা উনি এটুকু বলেই তাড়াতাড়ি চলে গেলেন। আমি একটু অবাক হলাম বড় স্যার দুই দিন পরে আসার কথা কারণ যাওয়ার দিন আমাদের বলেছিলেন ।উনার আসতে দুদিন দেরি হবে তারপর কিছু না ভেবে ওনার চেম্বারে গেলাম ।বড় স্যার বলেন উটি করতে হবে কোন নার্স না থাকায় অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে আমাকে ডেকেছেন। আমি আর কিছু না বলে উনার সাথে সাথে রুমে গেলাম। উনি আগে থেকে রেডি হয়ে ছিলেন আমাকে ড্রেস পরে আসতে বললেন ।
আমি রেডি হয়ে এসে দেখি ও উঠি রুমে স্যার নেই, আমি দেখলাম বিছানায় কেউ একজন শুয়ে আছে। আর সেটা সাদা কাপড় দিয়ে ঢাকা। আমি আস্তে আস্তে গিয়ে কাপড় টা সরিয়ে দিলাম, তারপর আমি যা দেখলাম, তা দেখার জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না। আমি যা দেখলাম বিছানায় হামিদ চাচার লাশ পড়ে আছে। তার মুখটা বীভৎস হয়ে গেছে কেউ দেখলে ভয় পাবে। যে কেউ দেখলে ভয় পাবে। এ দৃশ্য দেখে ভয়ে আমার শরীর ঘামতে শুরু করে। আমি তাড়াতাড়ি রুম থেকে বের হয়ে দরজা খুলতে গিয়ে দেখি, দরজা খুলছে না আমি আরও ভয় পেলাম। আমি বুঝতে পারছিলাম না আমার সাথে কি হচ্ছে, গামে আমার শরীর অধিকাংশ ভিজে গেছে। অনেক চেষ্টার পর দরজা খুলতে সক্ষম হলাম। দরজা খুলে আমি সুজা বড় স্যারের চেম্বারে গেলাম ।চেম্বারে গিয়ে দেখি কেউ একজন পিছনের দিকে ঘুরিয়ে বসে আছে। আমি স্যার বলে ডাক দিতেই সামনের দিকে তাকালাম তারপর আমি যা দেখলাম সেটা, আমি কখনো স্বপ্নে ভাবিনি।
আমি দেখলাম সেই সবুজ রঙের ড্রেস পরা একটা দেহ চেয়ারে বসানো। কিন্তু মাথা নেই, গলা দিয়ে রক্ত ঝরছে। এই দৃশ্য দেখার পর আমি আর স্থির থাকতে পারলাম না। স্যারের চেম্বারেই সেন্সলেস হয়ে পড়ে যাই।তারপর আমার কিছু মনে নেই পরদিন সকালে আমার নিজেকে আমি আমার রুমে আবিস্কার করি। আমার পাশে আমার বন্ধু বসে ছিল সে বললো সকালে ঘুম থেকে উঠে আমাকে দেখতে না পেয়ে অনেক খোঁজাখুঁজি করে স্যারের চেম্বারে গিয়ে আমাকে দেখে ।আমি পড়ে আছি তারপর আমাকে রুমে নিয়ে আসে আমাকে জিজ্ঞেস করে কি হয়েছিল। আমি তাকে আমার সাথে ঘটা ঘটনা পুরোটাই বলি। তারপর সে আমাকে যেটা জানালো সেটা শোনার পরে আমি আমার নিজের কানকে বিশ্বাস করছি পারছিলাম না ।
সে বললো গতকাল রাতে বড় সার এবং হামিদ চাচার একই বাসে করে আসছিলেন এবং সেই বাস এক্সিডেন্ট করে, এতে তারা উভয়ই ঘটনাস্থলে মারা যায়। আর জানালার গ্লাসে চাপ লাগে স্যারের মাথা বডি থেকে আলাদা হয়ে যায় ।ঘটনাটি এখানে শেষ হলে পারতো কিন্তু হলো না, এরপর থেকে পুরো ঘটনাটি আমি স্বপ্ন দেখতাম। আর চিৎকার দিয়ে ঘুম থেকে জেগে উঠতাম। আমাকে নিয়ে আমার বন্ধুরা খুবই দুশ্চিন্তায় ছিল। তার আর চার পাঁচ মাস পর আমি টিসি নিয়ে অন্য জায়গায় চলে যাই। এরপর আর আমার সাথে কিছু ঘটেনি আজও জানতে পারেনি কেন আমার সাথে এমন ঘটেছিল আর আমি কখনোই জানার চেষ্টা করেনি, কিছু কিছু ঘটনার রহস্য রহস্য থাকাই ভালো এই ছিল আমার ঘটনা।
0 comments:
Post a Comment